নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরোপুরি সরকারের মদদে রিজেন্ট হাসপাতালে অপকর্ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এই অভিযোগ করেন। বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, সমস্ত মন্ত্রী রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার মো. সাহেদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, কাজ করছেন। অর্থাৎ সরকারের মদদ স্পষ্ট।
ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে এই সরকারের যে ভূমিকা- এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা সবাই দেখছি, ভোগ করছি প্রতি মুহূর্তে। সকালে উঠে শুনতে হয় মৃত্যুর খবর আবার রাতে শোয়ার আগেও শুনতে হয় মৃত্যুর খবর। এভাবে মহামারিতে মৃত্যু হবে কিন্তু তা কোনো রকমের প্রতিরোধ গড়ে উঠবে না এবং চরম উদাসীনতার মধ্য দিয়ে, অবহেলার মধ্য দিয়ে সরকার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে-এটা কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই অবস্থা থেকে তাই মুক্তি পেতে হলে আমাদের জনগণের মতামতকে সত্যিকার অর্থেই গুরুত্ব দিতে হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের উদ্দেশ্য একটাইÑ আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতায় নিয়ে আসা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা। নির্বাচন কমিশন তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে, তারা তাদের প্রভুদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সমস্ত আইন তৈরি করছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন একইভাবে নির্বাচন কমিশনগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করেছে সেই দায়িত্বটা ছিল যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা।
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের উদ্যোগে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন : করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আবারও সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। আলোচকরা নিজ নিজ বাসা থেকে এই আলোচনায় যুক্ত হন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখন বড় ক্রাইসিস হচ্ছে- এক কোটি থেকে আরও বেশি লোক দরিদ্র হয়ে গেছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। প্রতিদিন দৃশ্যমান ন্যূনতম ১০-২০ পরিবার ঢাকা থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। এদের সেভ করা হবে কীভাবে? সরকারের কোনো প্ল্যান নেই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ২০ দলীয় জোটের নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আবদুর রশিদ সরকার বক্তব্য রাখেন।